মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল। এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও আগে অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা হয়।
মহাস্থানগড় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে পর্যটকদের খুব বিখ্যাত একটি জায়গা। আরো একটি বিখ্যাত জিনিস আছে মহাস্থানগড়ে।
কটকটি!!
জ্বী কটকটি। মহাস্থানগড়ে বেড়াতে এসে কেউ কটকটি ক্রয় করে না এমনটি হয় না কখনো।
কটকটি সিদ্ধ চালের আটায় তৈরি একটি সুস্বাদু খাবার। এটি চারকোনা বিস্কুট আকৃতির শুকনো মিষ্টান্নজাতীয় খাবার।
চলুন দেখে আসি এর প্রস্তুতপ্রণালীঃ


কটকটি তৈরি হয় কয়েক ধাপে। এর প্রধান উপকরণ সিদ্ধ সুগন্ধি চাল। চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। একেবারে নরম হলে সেই চাল ছেঁকে শুকানোর জন্য রেখে দিতে হয় প্রায় পনেরো মিনিট। পানি শুকিয়ে গেলে ঢেঁকি, মেশিন বা অন্য উপায়ে একেবারে মিহি আটায় রূপান্তর করা হয়। এই আটার সঙ্গে মেশাতে হয় বিভিন্ন মসলা, সয়াবিন তেল। ভালোভাবে মিশিয়ে গাঢ় করে খামির করা হয়। এরপর আকৃতির জন্য আগে থেকে তৈরি করে রাখা ছাঁচ দিয়ে কেটে নিতে হয়। কটকটির আকৃতি সাধারণত এক থেকে দেড় বর্গইঞ্চি হয়ে থাকে। তৈরি হয়ে গেল কাঁচা কটকটি। এবারে ভাজার পালা। বড় বড় কড়াইয়ে ভোজ্য তেল, ঘি-ডালডার সংমিশ্রণে ভাজা হয়। লালচে রং ধরা পর্যন্ত চলে ভাজাভাজির পর্ব। ভাজা হয়ে গেলে গুড় বা চিনির ঘন রসে ভাজা কটকটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর ঠাণ্ডা হয়ে গেলেই খাওয়ার উপযোগী হয়ে গেল স্বাদের কটকটি।
Customer reviews
Reviews
There are no reviews yet.
Write a customer review